উপরের ঠোঁটে মূল গঠনের মধ্যে ভাগ বা ফাঁক থাকলে তাকে বলা হয় ঠোঁটকাটা। তালুকাটা শব্দটির ব্যবহার হয় যখন মুখের মধ্যকার উপরের আস্তরনে ফাটল থাকে। বিকৃতির তীব্রতার মাত্রাগত তারতম্য হতে পারে। তীব্রতম আকারের ক্ষেত্রে ঠোঁটের ও তালুর বিভক্তির সাথে দাঁতের মাড়িতেও বিভক্তি থাকে ।তাকে বলে- ঠোঁট ও তালুর সম্পূর্ণ বিভক্তি। এ বিকৃতি একদিকে কিংবা দুই দিকেই থাকতে পারে।
বিকৃতি যে ধরনেরই হোক, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব। অবশ্য এ চিকিৎসা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্লাস্টিক সার্জনকেই করতে হবে। যদি আপনার শিশুর শুধুমাত্র ঠোঁটকাটা থাকে তবে তাকে সারিয়ে দিতে একবার অস্ত্রোপচারই যথেষ্ট হবে। শিশুর চেহারা এবং কথা-বলা স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং কয়েক বছর পরে কাটা দাগটা প্রায় বোঝাই যাবে না।শিশুর চেহারা এবং কথা-বলা স্বাভাবিক হয়ে যাবে অস্ত্রোপচারই মুখের মধ্যকার উপরের আস্তরনের বিভক্তি বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট। যদি আপনার শিশুর একইসঙ্গে ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা থাকে, তা হলে শৈশবে সাধারণত দুইটি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে।
কত শিশুর এরকম হয়?
বাংলাদেশে আনুমানিক প্রতি ৫০০ জন শিশুর মধ্যে একজন জন্মায় এ ধরণের জন্মগত ত্রুটি নিয়ে। ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা শিশুর চিকিৎসা :
ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীর চিকিৎসা
জন্মের পরপরই আপনার শিশুকে একজন প্লাষ্টিক সার্জন দ্বারা পরীক্ষা করানো উচিত। এর ফলে বিভক্তির গুরুত্ব বা মাত্রা কতখানি তা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে এবং আপনিও শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন।